| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী (রহ.) এর জীবন-আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত


আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী (রহ.) এর জীবন-আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত


রহমত নিউজ     11 May, 2025     03:06 PM    


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত ও জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া কামরাঙ্গীরচরের মুহতামিম আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী (রহ.) এর জীবন আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১০ মে) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়ায় এই জীবন আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) খলিফা শাইখুল হাদিস মাওলানা ইসমাইল ইউসুফ বরিশালী। অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ আলেম ও রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, ইসলামী রাজনীতির পথিকৃৎ হযরত মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ এর যোগ্য উত্তরসূরী আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী (রহ.) ছিলেন মাতা পিতার অত্যন্ত আদরের সন্তান। আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর তিলাওয়াত ছিল অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। হাফেজ্জী হুজুর তার তিলাওয়াত খুব পছন্দ করতেন। হজ্জের সফরে বিমানে বসে এবং আসা-যাওয়ার পথেও হাফেজ্জী হুজুর তার ছেলে আতাউল্লাহ (রহ.)-কে কুরআন তেলাওয়াত শোনাতেন।

বক্তারা বলেন, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, সদালাপী, পরোপকারী অন্যান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন আলেমে দ্বীন। সহজে করো উপর রাগ করতেন না। যারা তাকে প্রতিপক্ষ মনে করতো তাদেরও তিনি উপকার করতেন। ইয়াতীম- বিধবা পরিবারের লালন পালন ও পুনর্বাসন সহ অনেক অজানা সেবা মূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন ছোটদের প্রতি অত্যন্ত মমতাময়ী।

এসময় বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী তাঁর পিতার জীবন অনুসরণে অসংখ্য মসজিদ - মাদরাসা প্রতিষ্ঠাসহ এ দেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। ২০২১ইং সালের মোদীবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া আলেমদের মুক্তির ব্যাপারে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী রহ, এর ভূমিকা ছিলো অবিস্মরণীয়। বাতিল ফেরকা, নাস্তিক মুরতাদদের বিপক্ষে তিনি ছিলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোনো আন্দোলন-ইস্যুতে তিনি থাকতেন সম্মুখ সারিতে। যেকোনো প্রয়োজনে তার কাছে আসলে কেউ খালি হাতে ফিরতো না। উনার সবেচেয়ে বড় কারামাত হলো শারাফাত। তার ব্যবহার ছিলো অমায়িক। যে কারো সাথে তিনি খুব সহজে মিশতে পারতেন। কোনো কাজে গাফলতি হয়ে গেলেও তিনি সহজে রাগ হতেন না। তার আমৃত্যু স্বপ্ন ছিলো, বাংলাদেশে খেলাফত  তথা ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তিনি এ লক্ষ্যে  আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, আল জামিয়া পটিয়া আল ইসলামিয়ার মুহতামিম মুফতি আবু তাহের নদভী, শাইখ জাকারিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাইদ, মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. ঈসা শাহেদী, আমীরে জামায়াত ডঃ শফিকুর রহমান এর প্রতিনিধি মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উপদেষ্টা মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ হাসান, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা জুবাইর আহমদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধি  আলহাজ আবদুর রহমান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সংগঠক সানাউল্লাহ খান, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মুহিউদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতি  মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বশির উল্লাহ, খতমে নবুওয়াত আন্দোলনের আমীর মুফতি নূর হোসাইন নুরানী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, জামিয়া এমদাদুল উলূম ফরিদাবাদের মুহাদ্দিস মুফতি ইমাদুদ্দীন, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মুহাদ্দিস মুফতি রফিকুল ইসলাম মাদানী, মারকাজুত তারবিয়্যাহ বাংলাদেশের পরিচালক মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা শেখ আজিমুদ্দীন, মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হাক্কানী, নায়েবে আমীর মাওলানা সাঈদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, রুকনুজ্জামান রোকন, শিক্ষাদীক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ইহতেশামুল হক উজানী, মাওলানা মাহমুদুল্লাহ , মাওলানা মহিউদ্দিন ফারুকী, মাওলানা মুসা বিন ইযহার।